রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪

আইফোন ৬ বনাম স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৫

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪ - by Shah Alam 0

বর্তমান বাজারে অ্যান্ড্রয়েড আর আই.ও.এস - এর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। উইন্ডোজ কিছুটা পিছিয়ে আছে তবে আজকের পোষ্টটি উইন্ডোজ বিষয়ক নয়, তাই আমরা বরং সরাসরি মূল বিষয়ে চলে যাই। আজ আমরা বর্তমান বাজার দখল করে রাখা দুটি জায়ান্ট স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমের চলতি সময়ের দুটি হাই এন্ড স্মার্টফোন তুলনা করে দেখব। কেননা, আমি আমার গত পোষ্টে লিখেছিলাম যে অনেকেই আছেন যারা 'ব্র্যান্ড ভ্যালু' মাথায় রাখে স্মার্টফোন কেনার সময়। আর আজকে তাই বর্তমান সময়ের দুটি চমৎকার হাই এন্ড স্মার্টফোন এর সাথে তুলনা করে আপনাদের দেখাতে চেষ্টা করব। যদি কেউ এ'দুটির মধ্যে থেকে কোনটা কিনবেন ভেবে কনফিউসড থেকে থাকেন তবে আপনার কনফিউশন আশা করি খুব সহজেই চলে যাবে! যাই হোক, চলুন শুরু করা যাক।


ডিজাইন
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৫ - ৮.১ মিমি চিকন, সফট-প্ল্যাস্টিক ব্যাক এবং ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট।
আইফোন ৬ - ৬.৯ মিমি চিকন, অ্যানোডাইজড অ্যালুমিনিয়াম ব্যাক।




ডিজাইনের কথা চিন্তা করলে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৫ এবং আইফোন ৬ এর ডিজাইনে অনেক পার্থক্য পাওয়া যায়। কেননা, যেখানে আইফোন ৬ এর পেছনের অংশে ব্যবহার করা হয়েছে স্মুথ মেটাল এবং কাঁচ সেখানে গ্যালাক্সি এস ৫ -এ ব্যবহার করা হয়েছে সফট-টাচ প্ল্যাস্টিক এবং কর্নারের ক্ষেত্রে হার্ড প্ল্যাস্টিকের মিশ্রণ যা দেখতে অনেকটা মেটালের মতই। হাতে নিয়ে এক নজর দেখার ক্ষেত্রে আসলে কোন স্মার্টফোনই জিতবে না কিন্তু, গ্যালাক্সি এস ৫ এর চাইতে আইফোন ৬ খুবই চিকন দেখাবে এবং পাতলা লাগবে।
ব্যবহারকারীর সুবিধার দিক থেকেও আইফোন কিছুটা এগিয়ে থাকবে, কেননা গ্যালাক্সি ৫ অপেক্ষা এটি ২ মিমি চিকন এবং ৫ মিমি ন্যারো হবার কারণে হাতে নিয়ে ব্যবহার করতে বেশ আরামদায়ক হবে। যদিও, এই ক্ষেত্রে অ্যালুমিনিয়াম গ্যালাক্সি এস ৫ এর রিমোভাল ব্যাক সাইডের মত গ্রিপি হবেনা - যা অনেকেই পছন্দ করে থাকেন। বিশেষ করে যাদের হাত ঘামে বেশি।
গ্যালাকিস এস ৫ এর ব্যাক সাইড মূলত তৈরী করা হয়েছে বলা চলে কিছুটা মিক্সড কনটেন্ট থেকে যা কিনা গ্যালাক্সি এস ৪ এর ব্যাক কভারের সস্তা প্ল্যাস্টিকের ইম্প্রুভমেন্ট বললেই ভালো মানায়।  অন্যদিকে, আপনি যদি অ্যাপলের আসল লেদার কেস ব্যবহার করেন তবে আপনি গ্যালাক্সি এস ৫ এর মত গ্রিপও যেমন পাবেন তেমন আপনার হাতে থাকবে চমৎকার একটি হালকা ডিভাইস; সাথে সর্বোচ্চ প্রোটেকশনতো থাকছেই।
তবে, আপনি যদি খুবই রাফ ব্যবহারকারী হন যেমন বাথরুমের মধ্যেও আপনি গোসলের সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন (!) তবে গ্যালাক্সি এস ৫ এগিয়ে থাকবে অনেকটুকুই! কেননা, আইফোন ৬ এ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট সুবিধা একেবারেই নেই।
অন্যদিকে, গ্যালাক্সি এস ৫ এ রয়েছে ৫.১ ইঞ্চি সাইজের বিশাল স্ক্রিন যা অনেকেরই ব্যবহার করতে কষ্ট হবে বা বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়াবে; বিশেষ করে যাদের হাত ছোট আকারের। এদিক থেকে আবার আইফোন ৬ চমৎকার ভাবে আপনার হাতের মুঠিতে এটে যাবে।


স্ক্রিন
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৫ - ১৯২০x১৯৮০ অ্যামোলেড।
আইফোন ৬ - ১৩৩৪x৭৫০ আইপিএস।


প্রথমেই বলে রাখছি, দুটি স্মার্টফোনেরই স্ক্রিন বা ডিসপ্লে ইউনিট চমৎকার, তবে যেহেতু আজকে তুলনা করতে বসেছি সেক্ষেত্রে চলুন কিছু কম বেশিতো বের করতেই হবে। তুলনা শুরু করার পূর্বে আরও একটি কথা জেনে রাখা ভালো যে এই দুটি স্মার্টফোনের স্ক্রিনের পেছনে কাজ করেছে দুটি ভিন্ন টেকনোলজি তাই কোনটি আপনার কাছে জয় পাবে তা নির্ভর করে মূলত 'আপনি কী চাচ্ছেন' এর উপরে।
গ্যালাক্সি এস ৫ এর ডিসপ্লে ইউনিটে ব্যবহার করা হয়েহচে ৫.১ ইঞ্চি বিশিষ্ট অ্যামোলেড ডিসপ্লে যাতে রয়েছে পিন-শার্প ফুল এইচডি রেজ্যুলেশন সুবিধা এবং এতে প্রতি ইঞ্চিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৩২ পিক্সেল (পিপিআই)। এস ৫ এর ডিসপ্লে ইউনিটের একটি সুবিধা হচ্ছে এটি পারফেক্ট কালো রং প্রদর্শন করতে সক্ষম এবং এর রয়েছে অসীম কনট্রাস্ট রেশিও। যার ফলে আপনি যখন মুভি বা কোন ভিডিও ফাইল দেখবেন তখন ভিডিওর কালো অংশ গুলো একদম পারফেক্ট কালোই দেখাবে, এবং অন্য কোন লাইট সোর্স থেকে লাইট স্ক্রিনের কালো অংশকে ধূসর রঙ্গ করতে পারবে না। সংক্ষেপে, 'ভিডিও ফাইল প্লে করে আপনি চমৎকৃত হতে বাধ্য!'
তবে টেকনিক্যালি অ্যামোলেড ডিসপ্লে কখনোই বেস্ট কালার অ্যাকুরেসি দিতে সক্ষম হয়না! তাই, এস ৫ এর কালার মাঝে মাঝে ওভার স্যাটুরেটেড এবং কিছুটা ফেক মনে হয়। যদিও, এস ৫ এর ডিসপ্লে ইউনিট পূর্বের যে কোন গ্যালাক্সি ফোনের চাইতে অনেক ভালো তবুও 'বেস্ট' বলা যাবেনা। তবে, আশার কথা হচ্ছে আপনি গ্যালাক্সির এই ভিভিড কালার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করতে পারবেন।
এবার আশা যাক আইফোন ৬ এর ডিসপ্লে ইউনিটে। আইফোন ৬-এ ব্যবহার করা হয়েছে আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। এই টেকনোলোজির সুবিধা হচ্ছে এর ব্রাইটনেস ভালো এবং বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে এর কালার অ্যাকুরেসি প্রায় সমান এবং চমৎকার থাকে। যদিও আইফোন ৬ এর রেজ্যুলেশন এবং পিপিআই এস ৫ এর চাইতে বেশ খানিকটা কম তবুও এই ডিসপ্লে ইউনিটটি বেশ শার্প।  আগেও বলেছি, কালার অ্যাকুরেসির ক্ষেত্রে এস ৫ এর চাইতে আইফোন ৬ এগিয়ে থাকবে। 
সব শেষে, গ্যালাক্সি এস ৫ এর স্ক্রিন আইফোনের চাইতে ০.৯ ইঞ্চি বড়, যদিও আপনার হয়ত শুনতে তেমন একটা বড় মনে হচ্ছেনা তবে আপনি হাতে নিয়ে এর তফাৎ দেখলে অবাক হবেন।


ইন্টারনাল স্পিকার
এখনকার সময় আমরা এই ইউনিটটি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত হইনা তবে স্মার্টফোন কেনার পর বাসায় এসে কথা বলার সময় মাঝে মাঝেই হতাশ হতে হয় লো সাউন্ডের ফলে। তাই, তুলনায় 'ইন্টারনাল স্পিকার'ও টেনে আনলাম।
একটি ফোনের স্পিকার কনফারেন্স কল, হেডফোন ছাড়া ভিডিও দেখা - ইত্যাদি কাজে খুবই প্রয়োজনীয় একটি ইউনিট। মজার বিষয় হচ্ছে, এই স্মার্টফোন দু'টির একটিরও ইম্প্রেসিভ ফ্রন্ট-ফেসিং স্পিকার নেই যেমনটি আছে এইচটিসি ওয়ান এম৮'এর তবে স্মার্টফোন দুটির স্পিকার বলা চলে ডিসেন্ট।
আইফোন ৬ এর স্পিকার এস৫ এর তুলনায় কিছুটা জোড়ালো কিন্তু ফুল ভল্যিউমে সাউন্ড ফেটে যায় যা অবশ্য স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৫ এর ক্ষেত্রেও একই। তবে, গ্যালাক্সি এস৫ এর স্পিকার কিছুটা ক্লিয়ার সাউন্ড দিয়ে থাকে।

ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার
অ্যাপল আইফোন ৫এস এর সাথে টাচ আইডি প্রযুক্তি ইন্ট্রডিউস করেছিল এবং প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য এটি একটি 'রেভ্যুলেশন'! কেননা, এই প্রযুক্তির কারণে, ফোনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাওয়া যায় এবং আইফোন ৫এস এর এই সুবিধাটি বর্তমানের আইফোন ৬-এ আরও আপডেটেড!
অন্যদিকে গ্যালাক্সি এস ৫-এও স্যামসাং একটি 'ফিঙ্গার প্রিন্ট' স্ক্যানার যুক্ত করেছে তবে সেটা আইফোনের সিকিউরিটি সিস্টেমের ধারের কাছেও কাজ করেনা। কেননা, এক হাত ব্যবহার করে বার বার হাতের আঙ্গুল স্ক্যানারের উপর ওয়াইপ করা কিছুটা ট্রিকি, অন্যদিকে এর ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার শতভাগ সেন্সিটিভ নয়।  

স্টোরেজ
আইফোন ৬-এর ১৬ গিগাবাইট, ৬৪ গিগাবাইট এবং ১২৮ গিগাবাইট - এই তিনটি মডেল বর্তমান বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বুঝতেই পারছেন, স্টোরেজ এর দিক দিয়ে আইফোন ৬ কতটা শক্তিশালী!
অন্যদিকে, গ্যলাক্সি এস ৫-এ রয়েছে মাত্র ১৬ গিগাবাইট অন-বোর্ড স্টোরেজ (কিছু দেশে ৩২ গিগাবাইট ভার্শনও পাওয়া যায়) কিন্তু এতে মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহারের জন্যে রয়েছে একটি মেমরী স্লটও। আপনি ইচ্ছে করলেই ১২৮ গিগাবাইটের একটি মেমরী কার্ড কিনে এস ৫ এ ব্যবহার করতে পারবেন যার খরচ মিলেও তা আইফোনের চাইতে কম হবে।

পারফর্মেন্স
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৫ - ৩২ বিট কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮-১ কোয়াড কোর প্রসেসর, ক্লক রেটঃ ২.৫ গিগাহার্জ, জিপিইউ অ্যাড্রেনো ৩৩০ এবং ২ গিগাবাইট র‍্যাম।
আইফোন ৬ - ৬৪ বিট অ্যাপল ডুয়াল কোর ১.৪ গিগাহার্জ, জিপিইউ পাওয়ার ভিআর জিএক্স৬৪৫০, ১ গিগাবাইট র‍্যাম।
খাতা কলমের হিসেবে নিঃসন্দেহে গ্যালাক্সি এস ৫ এগিয়ে থাকবে, এমনকি এর স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী এটি আইফোন ৬ এর চাইতে দ্বিগুণ শক্তিশালী! কিন্তু, রিয়েল পারফর্মেন্স এর ক্ষেত্রে আইফোন ৬ এর বেঞ্চমার্ক স্কোর কিছু ক্ষেত্রেই ছিল গ্যালাক্সির চাইতে বেশি।
গিকবেঞ্চ ৩ এর বেঞ্চমার্ক ব্যবহার করে দেখা যায় দুটি স্মার্টফোনেরই স্কোর প্রায় সমান, বলে রাখা ভালো যে গিকবেঞ্চ ব্যবহার করা হয় স্মার্টফোনের সিপিইউ পারফর্মেন্স টেস্ট করার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, অন্য একটি জিপিইউ বেঞ্চমার্ক টেস্টার দিয়ে  জিপিইউ টেস্ট করে দেখা যায় আইফোন ৬ এর গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট গ্যালাক্সি এস ৫ এর চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী, অর্থাৎ আপনি আইফোন ৬ ব্যবহার করে ত্রিমাত্রিক গেম গুলো গ্যালাক্সি এস৫ এর চাইতেও ভালো করে খেলতে পারবেন।
আর সাধারণ ভাবে আমরা যে বিষয় গুলো দেখে থাকি যেমন, ফোনের রেসপন্ড টাইম, ল্যাগ হয় কি না - ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই আইফোন ৬ এগিয়ে আছে গ্যালাক্সি এস ৫ এর চাইতে।


ক্যামেরাঃ
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৫ - ১৬ মেগাপিক্সেল, phase ডিটেকশন, ১/২.৬ ইঞ্চি সেন্সর।
আইফোন ৬ - ৮ মেগাপিক্সেল, phase ডিটেকশন, ১/৩ ইঞ্চি সেন্সর।


প্রায় সব ক্যামেরার ক্ষেত্রেই বেসিক ব্যাপার একই! বড় সেন্সর = ভালো মানের ছবি! এই সূত্রমতেই, গ্যালাক্সি এস ৫ এর ক্যামেরা ভালো আলোতে বেশ চমৎকার ছবি তুলতে সক্ষম, যদিও ব্যাক গ্রাউন্ড মাঝে মাঝে ওভার এক্সপোসড হয়ে যাওয়ার টেন্ডেন্সি লক্ষণীয় এর ক্যামেরাতে দেখা যায়।
অন্যদিকে ব্রাইট কন্ডিশনে আইফোন ৬ এর ক্যামেরাও ভালো মানের ছবি তুলতে সক্ষম। আইফোনের ক্যামেরা লো-লাইট সিচুয়েশনও বেশ ভালো ভাবেই হ্যান্ডেল করতে সক্ষম।
দুটি স্মার্টফোনেই রয়েছে HDR মোড যা মূলত একটি ছবির কিছু বিভিন্ন এক্সপোসারের ছবি একত্র করে মূল একটি চমৎকার সুন্দর ছবি তৈরী করে থাকে।  তবে, HDR মোডের ক্ষেত্রে আইফোন ৬ ভালো কাজ করে এস ৫ এর তুলনায়। কেননা, আইফোন ৬ এর HDR মোডে এটি বেটার কালার অ্যাকুরেসি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি ডিটেইল ক্যাপচার করতে সক্ষম, এমনকি মেঘলা দিনেও।




ব্যাটারি লাইফ
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৫ - ২৮০০০ mAh ব্যাটারি।
আইফোন ৬ - ১৮১০ mAh ব্যাটারি।
সব শেষে কিন্তু খুবই ইম্পর্টেন্ট একটি বিষয় হচ্ছে এই ব্যাটারি লাইফ! অনেকেই আছেন যারা স্মার্টফোন ব্যবহার স্বত্বেও সাধারণ মোবাইল ব্যবহার করেন - শুধুমাত্র ব্যাটারি লাইফের জন্য! যাই হোক, গ্যালাক্সি এস ৫ এর ব্যাটারি কিছুটা বেশিই সাপোর্ট দেয় এবং আপনি মডারেট ব্যবহারে দেড় দিন অনায়াসে ব্যবহার করতে হবে।
ভিডিও টেস্টের ক্ষেত্রে আইফোন ৬ টিকে ছিল ১০ ঘন্টার মত যা ছিল গ্যালাক্সি এস ৫ এর চাইতে মাত্র এক ঘন্টা কম!
দুটি স্মার্টফোনেই চার্জ হয় খুবই দ্রুত। দুটি ডিভাইসেই ০ থেকে ১০০ পারসেন্ট চার্জ পূর্ন হতে সময় নেয় মাত্র দুই ঘন্টা।

About the Author

Write admin description here..

0 comments :

PaidVerts

ধন্যবাদ

এই ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। যদি ব্লগের কোন পোষ্ট ভাল লাগে তাহলে ব্লগটিকে শেয়ার করুন।

পৃষ্ঠাসমূহ

© 2013 IT News 24 এই সাইটের কিছু পোষ্ট সংগ্রহকৃত Blogger